বিপ্লবের নির্দেশনা দেখতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করুন

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০০৯

সমালোচনা মূলক পোষ্ট - ১


নাস্তিকদের নৈতিক রূপ কি এসব করা???


তাহাদের নৈতিকতা এবং রূপঃ

# সর্বপ্রথম ওনাদের সম্পর্কে যা বলা যায় তা হলো, ওনারা হলেন সবজান্তা সমশের, বিজ্ঞান শুধু ওনারাই পড়েন এবং বুঝেন। পৃথিবীর সব জ্ঞান ওনাদের দখলে। বাকী সব ধার্মিক লোকেরা হচ্ছেন গাধা। ওনারা যা বলবেন তাই ঠিক, বাকী সব ভুল।

# যদি ওনাদের জিজ্ঞেস করা হয়, "আপনাদের নৈতিকতার ভিত্তি কি?? কোন জিনিসের ভাল মন্দ কিভাবে বিচার করেন??" ওনারা জবাব দেন "ভাল মন্দ এম্নিতেই বুঝা যায়।" জবাব শুনে হেসেই মরি।

# যদি জিজ্ঞেস করা হয়, "পশ্চিমাদের মত মদ, পর্নোগ্রাফি কি আপনি সমর্থন করেন?? ঐগুলা কি ভাল নাকি মন্দ কিভাবে বুঝব??" ওনারা জবাব দেন " ওদের সমাজ আলাদা"। চিন্তা করেন নাস্তিকদের মধ্যেও আবার ভাগাভাগি আছে। আমি হেসেই মরি। ওনাদের নৈতিক চরিত্রের কোন শিকর খুজে পাওয়া যায় না।

# বাক স্বাধীনতার নামে ইচ্ছা মত যা খুশি বলবেন। বিভিন্ন্য ভাবে অন্য ধর্মের মানুষদের গালি দিবেন, উপহাস করবেন, কটুক্তি করবেন। কিন্তু কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তবে সে হয়ে যায় মৌল বাদী, ঊগ্রবাদী, যদিও মৌ্লবাদীর সংজ্ঞা ওনাদের কতটুকু জানা তা ওনারাই ভাল বলতে পারবেন। তাহাদের বাক স্বাধীনতায় আমি হেসেই মরি।

# মুক্তচিন্তার নামে নারীদের নিয়ে কুরুচি পূর্ন গান, কবিতা, সাহিত্য রচনা করবেন। ফ্যাশন শো তে ছোট কাপড় পরিয়ে মেয়েদের হাটাবেন আর মজা লুটবেন, এটাই তাদের নারী অধিকার। আর অন্য কেউ যদি তার স্ত্রী বা মেয়ে কে শালীন কাপড় কথা বলেন সে হয়ে যাবে মধ্য যুগীয় বর্বর, সেকেলে মনা মানুষ, পুরুষতান্ত্রিকতা বলে খোচা দিবেন।

# ইসলামে নারীর অধিকার নিয়ে পোষ্ট বা কিছু দেখলে তারা ঊপচে পরেন কুরুচি পূর্ন মন্তব্য করার জন্য। কিন্তু অন্য ধর্মে নারীর অবস্থান নিয়ে তাদের তেমন ঊতসাহ দেখা যায় না। কারন তাদের টার্গেট পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত প্রসারমান ধর্ম ইসলাম। সামনে পেলেই হল, একটু না একটু কালি লাগাতেই হবে। [অবশ্য তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের কতটুকু অধিকার দিয়ে চলেন তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে]

# হিজাব রক্ষা করা যাবে না। নারী অধিকারের নামে তাদের কে বিকিনি পরতে দেয়া হবে, ছোট ছোট কাপড় পড়ে মেয়েদের সাথে পার্টিতে যাওয়া যাবে, কিন্তু তারা নিজেরা ছোট কাপড় পরবেন না। টাই স্যুট পড়ে ফিট ফাট থাকবেন। কারন হিজাব করলে তো মেয়েদের আড় চোখে দেখা যাবে না ।

# একাধিক বিয়ে করা যাবে না। বিয়ে করবেন একটি, কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত ভাবে ১০ জনের সাথে অবৈধ ভাবে মেলা করা যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের কোন প্রতিবাদ নেই। তসলিমা নাসরিন ও হুমায়ুন আহমেদের কথাই ধরা যাক, একজন তো নিজে কয়াটা পুরুষের সাথে কি করেছেন লিখে বেড়ান। আর আরেক জন শেষ বয়েসে এসে ছোট মেয়ের লোভ সাম্লাতে পারলেন না। এরকম আরো অনেক ঊদাহরন দেয়া সম্ভব।

# তারা জিজ্ঞেস করেন, "ইস্লামে নারীদের কেন একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়া হল না?" অবশ্য এক্ষেত্রে তারা তাদের নিজের স্ত্রী কে অন্য পরুষের সাথে বিয়ে দিয়ে একাধিক বিয়ের সুযোগ দিবেন কিনা?? অথবা তারা তাদের স্ত্রী বা প্রেমিকাকে অন্য পুরুষের সাথে কতটুকু মেশার সুযোগ দেন তা গবেষনার ব্যপার।

# কোন গ্রামের কোন অশিক্ষিত মুস্লিম কোন ১৪ বছরের মেয়েকে বিয়ে করলে ওনারা হৈ চৈ ফেলে দেন। ৫০ বছরের অমুস্লিম যখন ৬ বছরের বাচ্চাকে রেইপ করে [পশ্চিমা বিশ্বে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে], তখন ওনাদের ঐ রকম হৈ চৈ দেখা যায় না। এমন কি হাজার হাজার চাইল্ড পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধে তাদের কোন হৈ চৈ অবস্থান দেখা যায় না।

ওনাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই বলা যায়। আজ এতো টুকুই থাক। তবে সবাই একরকম নন। ভাল চিন্তা করেন এমনটা খুব কম।

বাইবেল এবং কোরানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে। যারা কেয়ামতের আগে পৃথিবীতে একটি ভিন্ন ধর্মী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে এবং ধর্মকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করবে। বর্তমান পূজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় এদের প্রভাব দেখলে বুঝা যায় তারা সেই পথেই এগুচ্ছে । তারা বিভিন্ন ভাবে মানুষ কে প্রভাবিত করবে এবং তাদের কে নিজেদের দলে ভিরানোর চেষ্টা করবে। এসব প্রভাব থেকে মানুষ যত দূরে থাকবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল। বাইবেলে এদের কে এন্টি ক্রাইষ্ট বলা হয়েছে। যারা যীশূকে অস্বীকার করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন